বিকাশের বিকশিত হওয়ার পথযাত্রা- কিছু ভাবনা!

Asif Iqbal
7 min readAug 7, 2020

--

অক্সফোর্ড ডিকশনারী ইংরেজি ভাষাকে প্রবহমান ও যুগোপযোগী রাখার জন্য যে ভূমিকা রেখে চলেছে, বাংলা একাডেমির অভিধান যদি বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে সে ভূমিকা রাখতো, তাহলে ‘বিকাশ’ শব্দটি হয়তো এখন ডিজিটাল লেনদেনের প্রতিশব্দ হিসেবে আভিধানিক মর্যাদা পেয়ে যেতো! বাংলাদেশের আর্থিক খাতে গত এক দশকে সবচেয়ে impactful brand গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া bkash এর প্রভাব অনুভব করা যায় যখন Mobile Financial Services (MFS) এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে যখন কেউ বলে, ‘ভাই, বিকাশ করা যাবে?’। ২০১০ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারী হিসেবে যাত্রা শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানটি এখন অবিসংবাদিতভাবে MFS খাতে বৃহত্তম অপারেটর। কিছুদিন আগেই সিটি ব্যাংকের সাথে যৌথভাবে ডিজিটাল ক্রেডিট চালু করা বিকাশ তাদের সেবা প্রদানের পরিধি বেশ ক’বছর ধরেই অনেকদূর বিস্তৃত করেছে। এর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে শুধুই কানে আসে, ‘বিকাশের চার্জ বেশী!’ শুনে আমার কেবলই খটকা লাগে, এদিকে আমি আবার ডিজিটাল ফিনানসিয়াল সার্ভিসেস খুবই কম বুঝি! অল্পবিস্তর আমি যতদূর ফিন্যান্স বুঝি, একটা রেগুলেটেড ইন্ড্রাস্ট্রিতে কোন অপারেটরের পক্ষেই প্রোডাক্ট প্রাইস হাইপার লেভেলে রাখা সম্ভব না! এদিকে জ্ঞানী, অজ্ঞানী, আধাজ্ঞানী- সবাই বলতেসে, ‘চার্জ বেশী, চার্জ বেশী!’ আমাদের দেশে সমালোচনা করার সময় কিছু বিশেষণ জুড়ে দিলে পুরোই ‘মার্কেট খায়!’। তাই এটাও শুনলাম, বিকাশ কসাই! কিন্তু, আমার খটকা যায় না। পড়া শুরু করলাম, এলোপাথাড়ি পড়া! তবুও সংশয় যায় না! অগত্যা, ধর্ণা দিলাম হক সাহেবের কাছে! তার মাধ্যমে অনেকখানি ‘আলোকপ্রাপ্ত’ মানে enlightened হইলাম! তারপর মনে হইলো বিকাশের ব্যালেন্স শিট ঘাটি! যেহেতু ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি, তাই বিকাশের আলাদা ব্যালেন্স শিট সহজেই পাওয়া যায়! তারপর ভাবলাম, বাকি অপারেটরদেরগুলো খুঁজি! তখনই মনে পড়লো যে বিকাশ ছাড়া আর কোন MFS অপারেটর তো সাবসিডিয়ারি না! তাই, শুধু বিকাশেরটাই দেখলাম! দেখেতো চক্ষু ছানাবড়া! একী!

২০১৭ সালে যার Net Profit ৪৮.৭৮ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে তার নিট মুনাফা ১৮.৪৭ কোটি টাকা আর ২০১৯ সালে নিট ক্ষতি ৬২.৫১ কোটি টাকা। মুনাফার এই পেছনমুখী যাত্রা এখানে শেষ হলে ভালোই হোত, কিন্তু না, ২০২০ সালের জানুয়ারী-মার্চ সময়কালে বিকাশের নিট ক্ষতি ১৭.০০ কোটি টাকা। এটা কিন্তু প্রাক-করোনা যুগের হিসেব। করোনাকালে ডিজিটাল লেনদেন বেশী হয়েছে এই বিবেচনায় পরের সময়কালে বিকাশের যাত্রা উল্টোমুখী হবে সে ব্যাপারেও আশাবাদী হতে পারছি না। কারণ, ২০১৭-২০১৯ সময়কালে, বিকাশের Gross Revenue ছিলো যথাক্রমে ১,৭৫৮.৯৫ কোটি টাকা, ২,১৭৯.১৩ কোটি টাকা ও ২,৪১৬.০৮ কোটি টাকা। তার মানে সাদা ভাষায় এই তিন বছরে বিকাশের পণ্য বা সেবার বিক্রি কিন্তু কমেনি। এমনকী ২০১৯ সালের জানুয়ারী-মার্চ সময়কালে এ প্রতিষ্ঠানের Gross Revenue ছিলো ৬১৫ কোটি টাকা যা ২০২০ সালের একই সময়কালে হয়েছে ৬৪৮ কোটি টাকা। অথচ, নিট মুনাফার এ অবস্থা কেন! তাহলে লাভের গুড় কোন পিপড়া খায়!

বিকাশের ব্যালেন্স শিট পর্যালোচনায় দেখা যায়, Gross Revenue এর ১২% চলে যায় ভ্যাটে! আর, তাদের এই রেভিনিউ আয়ের পেছনে যে সরাসরি খরচগুলো আছে সেগুলোকে Cost of Services হিসেবে দেখানো হয়। এই head এর মধ্যে আছে Agent and Distributors Commission, MNO Service Charges এবং Interest and Others। ২০১৮ সালে Cost of Services ছিলো Gross Revenue এর ৬৪.৪৪% ও ২০১৯ সালে ছিলো ৬৮.৭৬%। গল্পের নির্যাস এটুকুতেই শেষ না। ২০১৯ সালে Gross Revenue এর Growth rate ছিলো ১০.৮৭% যেখানে ঐ বছর Agent and Distributors Commission, MNO Service Charges এবং Interest and Others এর Growth rate ছিলো যথাক্রমে ১৫.৮০%, ৩৮.৮০% ও ৪৬.৬৪%। এই বিশ্লেষণেই একেবারে পরিস্কার যে বিকাশ তার সার্ভিসগুলোর চার্জের যে অংশটা পায়, তাতে তার পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে নিট মুনাফা ধরে রাখাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ, ভোক্তা পর্যায়ে সার্ভিস চার্জ ‘বেশী’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে! এই বিপরীতমুখি পরিস্থিতিতে আবার খুব অদ্ভুত একটা অংক আছে! বিকাশ তার সব ধরনের সেবা প্রদানে সার্ভিস চার্জ নেয় না ভোক্তার কাছ থেকে। যেমন cash in এর ক্ষেত্রে ভোক্তা কোন চার্জ দেয় না, আবার cash out এ দেয়। কিন্তু, বিকাশকে তার এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরকে cash in ও cash out দুটোর জন্যই কমিশন দেয়া লাগে। এদিকে ২০১৮ সালে বিকাশ নতুন পুঁজি পেয়েছে Ant Financial (Ali Pay) এর কাছ থেকে, তাই পুঁজির সংকটের কারণে তাদের ব্যবসায়ের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাও বলা যাচ্ছে না। এখানে একটি ফুটনোট না দিলেই নয়, তা হলো, ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিকাশের নিট মুনাফা ঊর্ধ্বমুখীই ছিলো। তাই, এখানে আলাপটা ২০১৭ থেকে সর্বশেষ সময়কাল পর্যন্ত করা হয়েছে।

তাহলে, বিকাশের এই আর্থিক অবস্থার কারণ কী! তাদের business model কি revisit করা দরকার! নাকি পুরোপুরি restructure করা দরকার! এর কোন প্রশ্নেরই কোনটারই খুবই সহজ কোন উত্তর নেই। এ পরিস্থিতির জন্য MFS industry তে অনেকেই ঢালাওভাবে রেগুলেটরকে দায়ী করবেন, আবার অনেকে বিকাশকে দায়ী করবেন, অনেকে বলতেই পারেন ‘নগদ’ এর প্রচন্ডভাবে emerge করার জন্যই এ পরিস্থিতি। হয়তো এর সবগুলোরই ভূমিকা থাকতে পারে এ অবস্থার জন্য, আবার অন্য কোন ফ্যাক্টর কাজ করতে পারে এর পেছনে। বিস্তারিত বিশ্লেষন ছাড়া এর উত্তর বের করার চেষ্টা করলে ভুল দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল!

তবে, MFS industry এর আরেকটা খুব intriguing বিষয় আমি কখনো কোন বিশেষজ্ঞের আলাপে পাইনি। সেটা হলো MFS market এ এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরদের ভূমিকা ও তাদের behavioral pattern! বিকাশ নিয়ে পড়তে এবং জানতে গিয়ে আবিস্কার করলাম এজেন্টরা ও ডিস্ট্রিবিউটরা রীতিমতো দুর্ধর্ষ! তার একটা কারণ সম্ভবত, এই ফিল্ডে তারা বহু পুরনো অংশীজন! একটু উদাহরণ দেয়া যাক, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিকাশ এজেন্টরা হয় মুদি দোকানে, নয় স্টেশনারী দোকান নয়তো লন্ড্রিতে নয়তো পত্রিকার স্টলেই থাকে বা কোন ফার্মেসিতে। অন্তত কোন না কোন Mobile Network Operator এর এজেন্টতো এরা বটেই! তাই, ডিস্ট্রিবিউটরদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই! তাই, মার্কেট মেকানিজমে এদের ভূমিকা অপরিসীম! কারণ, তারা ভোক্তার সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। Exactly! তাই, এই স্তরে যে খেলাগুলো হয় সেগুলো একেবারে ‘অন্য লেভেলের’! যেমন, সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে একটা অভিযোগ আছে, বিকাশের ক্যাশ আউটে ২০ টাকা দিতে হয় প্রতি হাজারে। অথচ, বিকাশের অফিসিয়াল ক্যাশ আউট চার্জ (এজেন্ট) হচ্ছে ১.৮৫%। এই ২০ টাকার গল্পে যা হয়, তা হলো কপিলা গেলো এজেন্ট বিনোদের কাছে ক্যাশ আউট করতে, কিন্তু, কপিলার বিকাশ একাউন্ট নেই। তাই, কপিলাকে যিনি টাকা পাঠাচ্ছেন তিনি send money দিচ্ছেন এজেন্ট বিনোদের পার্সোনাল একাউন্টে আর সেখান থেকে এজেন্ট বিনোদ কপিলাকে ক্যাশ আউট করে চার্জ নিচ্ছেন ২০ টাকা। এখানে বিকাশ কিন্তু পাচ্ছে ঐ অফিসিয়াল ১.৮৫% এর হিসেবেই। এমন আরো বেশ কিছু intriguing agent-distributor activity আছে যেগুলো বিকাশের প্রফিট প্যাটার্নকে সরাসরি প্রভাবিত করে। সে কারণেই Gross revenue যে প্রবৃদ্ধির হার ও Cost of services এর প্রবৃদ্ধির হারে চোখে পড়ার মত পার্থক্য তৈরি হয়।

এ পর্যায়ে কারো মনে হতেই পারে, একটা প্রতিষ্ঠান যদি net loss করতে করতে বন্ধও হয়ে যায়, তাতে কীইবা এসে গেলো! এসে যায়! বিকাশ যদি প্রতিষ্ঠান হিসেবে long run এ sustain করতে না পারে, তাহলে সেটা হবে বাংলাদেশের ফিনটেক ইন্ডাস্ট্রির প্রথম জেনারেশনের বিজনেস মডেল ফেইলিওর। তাই, বিকাশের sustain করার উপর অনেকখানি নির্ভর করছে বাংলাদেশের ফিনটেক ও ডিজিটাল ফিনানসিয়াল সার্ভিসেসের বিজনেস মডেলের ভবিষ্যত গতিপ্রকৃতি। ২০১০-১১ সময়ে যে ঝড় তুলে বিকাশ আর্থিক খাতে এক নতুন ধারার সৃষ্টি করেছিলো তার পথ ধরেই এখনো হাঁটছে শৈশবে থাকা বাংলাদেশের ফিনটেক ইন্ডাস্ট্রি। Disruptive technology দিয়ে financial service providing landscape এর চেহারা পালটে দেয়ার শুরুতো MFS এর মাধ্যমেই। আর, করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে আর্থিক খাতের ভবিষ্যতই হচ্ছে ডিজিটাইজেশন। তাই, বিকাশের গল্পটা খুব গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে, বিশ্লেষন করতে হবে এর সকল অংশীজনদেরকেই! তাহলেই ভবিষ্যতের পথচলার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগুলো কুড়িয়ে নেয়া যাবে। কারণ, ফিনটেক সবসময়ই disruption এর মাধ্যমে আর্থিক সেবাদানকে পালটে দেয়।

বাংলাদেশের ডিজিটাল ফিনানসিয়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রেও এমনই আরেক ধরনের disruption তৈরি করেছে আরেকটি অপারেটর — নগদ। এখন এটা কি শুধুই disruption, নাকি distortion সেটা এখনই বোঝা যাবে না। তবে, ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন অমীমাংসিত থেকেই গেছে এখনো। যেমন, বলা হচ্ছে ‘নগদ’ হচ্ছে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের ডিজিটাল ফিনানসিয়াল সার্ভিস। অথচ, নগদ পরিচালনা করে Third Wave Technologies Limited (TWTL)। এখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, TWTL কি বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের কোন সাবসিডিয়ারি নাকি ফ্র্যাঞ্চাইজি নাকি আউটসোর্সিং কোম্পানি। এদিকে আবার ‘নগদ’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দেখানো হচ্ছে TWTL এর MD কেই। অথচ, গুগল ও বিং এ বিস্তারিত সার্চ করেও TWTL এর কোন ওয়েবসাইট পেলাম না। এই প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ এর পরিচালনা ছাড়া আর কি কি পণ্য বা সেবা বিক্রি করে, এর মালিকানা বা কর্পোরেট গভর্নেন্স কাঠামো কেমন, কি ধরনের অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পোস্ট অফিস এই প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য- এর কোন কিছুই জানার কোন উপায় নেই। কারণ, ‘নগদ’ এর ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত কোন তথ্যই নেই। এছাড়া, নগদের financial statement এর বিষয়েও কিছুই নেই ওয়েবসাইটে। ফলে নগদের মুনাফা বা লোকসান কি হচ্ছে তাও জানা যাচ্ছে না, আবার মুনাফা হলে তার কতটুকু অংশ বাংলাদেশ পোস্ট অফিস পাচ্ছে সেটাও জানা যাচ্ছে না। এই ব্যাপারগুলো কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে সংশয় সৃষ্টি করে। ‘নগদ’ কে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের ব্র্যান্ড বা নিজস্ব সেবা বলা হলেও এই ব্র্যান্ডের প্রাতিষ্ঠানিক চুক্তিগুলো হচ্ছে কিন্তু TWTL এর সাথে। উদাহরণঃ http://abbl.com/ab-bank-limited-signed-an-agreement-with-third-wave-technologies-limited-nagad/

https://today.thefinancialexpress.com.bd/stock-corporate/one-bank-signs-deal-with-third-wave-technologies-1537804583

অন্যদিকে D Money Bangladesh নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ পোস্ট অফিস দায়িত্ব দিয়েছে তাদের digital wallet service পরিচালনার জন্য যার সম্পর্কে কিন্তু সবই জানা যাচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। যেমন এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত একটি payment service provider এবং এরা কি কাজ করে, কিভাবে করে, কাদের জন্য সেবা দেয়, কিভাবে দেয় সেগুলোর সবই তাদের ওয়েবসাইটে আছে।

এখন যে কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, নগদ এভাবে পরিচালিত হলে অসুবিধা কোথায়! খুব মোটা দাগে দেখলে কোন সমস্যা হয়তো নেই! তবে, বিকাশের অভিজ্ঞতায় নগদের business model এর sustainability potential টা ভেবে দেখা দরকার। কারণ, নগদ এখন যে ধরনের advantage এবং corporate ও institutional indemnity নিয়ে কাজ করছে, এভাবে long run এ মার্কেট মেকানিজমে কোন প্রতিষ্ঠান survive করে না। এ বিষয়ে শত শত না, হাজারে হাজারে উদাহরণ আছে! ২০২০ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝিতে নগদ MFS operator হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের interim approval পেয়েছে ছয় মাসের জন্য। অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছে নগদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের MFS regulation এর সব শর্ত মানতে হবে। অথচ, গত বছর নগদ তার market share সম্প্রসারণে যে approach নিয়েছিলো, তাতে যে পদক্ষেপগুলো ছিলো তার অনেক কিছুই বাংলাদেশ ব্যাংকের MFS regulation এর সাথে সঙ্গতিপূর্ন না। তাহলে যদি বাংলাদেশ ব্যাংক MFS regulation এ কোন পরিবর্তন না করে এবং নগদ যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল পলিসি ও রেগুলেশন যথাযথভাবে পরিপালন করে, তাহলে নগদের বিজনেস মডেলের sustainability ও প্রশ্নের মুখে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আমার কনসার্ন তাই ঘুরেফিরে একটা জায়গাতেই- sustainability of business model of different operators। কারণ, অপারেটর sustain না করলে ইন্ডাস্ট্রিতে stability আসবে না। যদিও Fintech আর ডিজিটাল ফিনানসিয়াল সার্ভিস disruption ছাড়া এগোয় না, তবু, অপারেটরগুলোর দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা না এলে ভোক্তাদের আস্থা কমতে শুরু করবে একটা পর্যায়ের পর। তাই, এই সেক্টরের অংশীজনদের আরো বিশ্লেষণাত্মক মনোভঙ্গিতে, নির্মোহভাবে, প্রজ্ঞার সাথে এই অপারেটরগুলোর বিজনেস মডেলের বিবর্তন পর্যালোচনা করা দরকার। নইলে শৈশব পার করতে থাকা বাংলাদেশে ফিনটেক ইন্ডাস্ট্রির কৈশোর ও তারুণ্য খুবই কঠিন এক সময়ে পরিণত হওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না!

--

--

Asif Iqbal
Asif Iqbal

Written by Asif Iqbal

Wants to write for human, environment and the universe!

Responses (1)